দেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও জনআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে—প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, দলের বিরুদ্ধে চলমান অভিযোগের ভিত্তিতে এবং বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও অনলাইন কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা অক্ষুণ্ণ রাখার দিকটি গুরুত্ব পেয়েছে।
এদিকে, সদ্য আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গত কয়েকদিন ধরে ওই দলের বিরুদ্ধে আইনি ও রাজনৈতিক পদক্ষেপের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এসব কর্মসূচির সূত্র ধরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে সাবেক সরকারের ভূমিকা ও দায়িত্ববোধ।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এবং বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হবে, যার ফলে রাজনৈতিক দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায় সাবেক এক রাষ্ট্রপ্রধানের বিদেশ গমনের ঘটনাকে ঘিরে। তখন থেকেই আন্দোলনকারীরা দাবির পক্ষে নতুন করে জনসমর্থন গড়ে তোলে।
এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত হয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক রূপরেখা “জুলাই ঘোষণাপত্র” আকারে প্রকাশ করা হবে, যাতে রাজনৈতিক উত্তরণের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।